নিজাম উদ্দিন আহমেদ, রূপগঞ্জ: শুক্রবার ৫ মে বিকাল ৫ টায় রূপগঞ্জের আরআইসিএল কারখানায় বিস্ফোরণ ও মৃতের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল হক। এসময় তিনি
বিস্ফোরণের কারণ তদন্তে ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান আহবায়ক, কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রফিক আহমেদকে সদস্য সচিব ও পল্লী বিদ্যুতের ইঞ্জিনিয়ার আলতাব হোসেনকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি এসময় বিদুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায় রূপগঞ্জে রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড কারখানার গলিত আগুনে দগ্ধ আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসারত অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন ইলিয়াস (৩৫)। সে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার মৃধা বাড়ি এলাকার মোঃ ফজর আলী মিয়ার ছেলে। নিয়ন (২০) রাজবাড়ি জেলার রমকান্তপুর এলাকার আহম্মদ আলীর ছেলে। আলমগীর (৩০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু বেড়ে ৪ জন।
শুক্রবার (৫ মে) বেলা সাড়ে বারোটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আলমগীর। তার শরীরের ৯৫% শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার আজাদ আলীর ছেলে আলমগীর। আরও ৩,জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চুল্লি বিস্ফোরনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়। বাকি ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক। গত ৪ মে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার সাওঘাট এলাকাস্থ রহিমা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডে চুল্লি বিস্ফোরণ হয়। এতে ৭ শ্রমিক আগুনে ঝলসে যায়। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করা হলে শংকর নামের এক শ্রমিককে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় গতকাল ভোরে ইলিয়াস, নিয়ন ও বেলা সাড়ে বারটায় আলমগীর নামের আরও তিন শ্রমিক মারা যায়।
গত ছয় মাস যাবৎ কারখানায় লোহা উৎপাদন শুরু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে যেখানে দূর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে তারা কোন অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা দেখতে পাননি। শ্রমিকরা নিরাপত্তা সরজ্ঞাম ব্যবহার করেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, কারখানায় ডিউটিরত অবস্থায় তাদের কোন নিরাপত্তা পোষাক দেয়া হয়না। একপ্রকার মৃতুর ঝুকিঁ নিয়েই তারা সেখানে কাজ করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এসএস আইয়ুব হোসেন বলেন, দগ্ধ ৭ জনের মধ্যে ৪ জন মারা গেছে। বাকি ৩ জনের অবস্থা আশংকাজন। তাদের মধ্যে রাব্বির শরীরে ৯৮ শতাংশ, জুয়েলের শরীরে ৯৫ শতাংশ ও ইব্রাহিমের শরীরে ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।